৪০ লাখ বিদেশী কর্মী আটক সৌদি আরবে


 সৌদি আরবে অবৈধ শ্রমিকদের ধরপাকড় করে দেশে পাঠানো হচ্ছে 


সৌদি সরকার ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত  আড়াই বছরে ৪০ লাখ অবৈধ বিদেশেী নাগরিককে আটক করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ বিদেশীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীও রয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর খবরে বলা হয়েছে।


গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলতি বছরই প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশী কর্মী সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছেন। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর রাতে ১৩০ জন সৌদি আরব দেশে দেশে ফিরেন।  সৌদি ্আরবে  আনুমানিক ২৫ লাখ বাংলাদেশী কর্মী রয়েছে।

২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৫ হাজার অবৈধ বিদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। এরা সৌদি শ্রম ও অভিবাসন আইন লংঘনর করে  অবস্থান করছিল। এদের মধ্যে  এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৮২ হাজার ১১৩জনকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।

 সৌীদ আরব অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনায়  ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে অবৈধ বিদেশী  নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে এই কাজে সহায়তা করছে দেশটির পাসােপার্ট অধিদফতর ও সৌদি শ্রম ও সামাজিক  উন্নয়ন বিভাগ সহ আরো ১৯টি সরকারি সংস্থা।

এই অভিযানে সৌদি নাগরিক, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা  আইন লংঘনের অভিােগ ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৭ জনের বেশি বিদেশীকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ৯ লাখ ৮২ হাজার ১১৩জনকে তাদের নিজ নিজ দেশ ফেরত পাঠানো হয়।
 সৌদি  আরবে আশ্রয় কেন্দ্রে আটক অবৈধ ্শ্রমিকরা 

৩০৮৩১০৩ জনকে নাগরিক আইন, ৬০৭৪৩৪ জনকে শ্রম আইন ও ২৬৫৩৩০জনকে সীমান্ত নিরাপত্তপ আইন লংঘনের অভিযোগে আটক করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান,  দক্ষিনাঞ্চলীয় সীমান্ত দিযে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় আটক করা হয় ৬৭২৯৯জনকে যাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগই  ইয়ামেনি, ৫২ ভাগ ইথিওপিয়ান এবং বাকী ৩ ভাগ  অন্যান্য দেশের।

 >আরও পড়ুন: সৌদি নারীরা এবার সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদে যোগ দিতে পারবেন

কর্মকর্তারা আরো জানান, সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালানোর সময় আটক করা হয় ২৮১১ জনকে।  অভিযান পরিচালনাকরি কর্মকর্তাদের মতে, অবৈধ নাগরিকদের আশ্রয় এবং যাতায়াতে সহযোগিতা করার অভিযোগে  ১৬০৯জন সৌদি নাগরিকসহ ৪৫৪৭ জনকে আটক কর হয়। তারা জানান, আটকদের ১৫৮১ জনকে  অবৈধভাবে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ, শাস্তি এবং মুক্তি দেয়া হয় এবং বাকী ২৮জনের বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত চলছে।

আইন অনুযায়ী বর্তমানে ১২৭৩১জন বর্তমাে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ভোগ করছেন। তাদের মধ্যে ১১১১৩জন পুরুষ এবং ১৬১৮জন নারী।

আইন অমান্যের কারনে তাৎক্ষনিক শাস্তি দেয়া হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার৬৯৭জনকে। ৫০১৪৯৩  বিদেশীকে তাদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেটের বরাবরা পাঠানো হয় প্রয়োজনীয়  কাগপত্র ইস্যুর জন্য। আর সৌদি আরব ত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছে ৯৮২১১৩ জন।  বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতায় অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই ধরপাকড়ের অভিযান পরিচালনা করে দেশটি।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণকারী সকল বিদেশী নাগরিকদের কোন রকমের শাস্তি ছাড়াই দেশ ত্যাগের জন্য ৯০দিনের সময় দেয়া হয়। তখন বৈধ কাগজপত্রবিহীন অনেকে তখন দেশ ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, যাদেরকে পরে বৈধ কাজের ভিসা দিয়ে দেশে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশীরা এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগটি লাভ করে। সৌদি কর্তৃপক্ষের মতে, ১৪০টি দেশের আনুমানিক ৭৫০০০০ হাজারের  লোক তখন সাধারণ ক্ষমার  সুযোগটি গ্রহন করে।
 অবৈধ শ্রমিকদের আটকে পুলিশের অভিযোন  সৌদি আরবে

সৌদি ধরপাকড়ের এই অভিযানের অংশ হিসেবে সর্বশেষ গত  ৩ অক্টোবার রাতে  সৌদি আরব থেকে  ১৩০ জন বাংলাদেশে শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন।  ফেরত আসা শ্রমিকরা জানান,  প্রতিদিন শত শত শ্রমিকদে আটক করে  আশ্রয়  কেন্দ্রে নিয়ে রাখা হচ্ছে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।  কারো কারো বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্তেও ফেরত পাঠানোর অভিযোগ করেছেন কোন কোন শ্রমিক ।

ব্রাকের  অভিবাসন বিষয়ক এক কর্মকর্তার পরিসংখান মতে চলতি বছর সর্বশেষ এই ১৩০জসহ প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশে কর্মী  দেশে ফেরত এসেছেন। ##   [সূত্র: সৌদি গেজেট, ডেইলি স্টার ]


বিয়ে হয় না ২২ লাখ সৌদি নারীর !



Comments

Popular posts from this blog

৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ: কী আছে সাংবাদিকদের জন্য

ইগো- আমি, আমিত্ব, অহম, অহংকার, অহংবোধ, স্বাতন্ত্র্যবোধ, ঈর্ষা,আত্মমর্যাদা, আত্মতৃপ্তি

আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস